শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের হাতনি-জামির্ত্তা চকের ইটভাটার ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত চাপরাইল গ্রামের ৪৮ জন কৃষক এখানো পর্যন্ত তাদের ক্ষতিপূরণ পায়নি। ফসলি জমির ওপর গড়ে ওঠা ইটের ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় চান্দহর ইউনিয়নের রিফায়েতপুর-চালিতাপাড়া ও জামির্ত্তা ইউনিয়নের হাতনী, চাপরাইল ও জামির্ত্তা চকের ৩‘শ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়। এ নিয়ে দৈনিক ফুলকিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফালাও করে স্বচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন
যার প্রেক্ষিতে গত ৩ জুন চান্দহর ইউনিয়নের ৬২ জন ও জামির্ত্তা ইউনিয়নের ২২১ কৃষকের মধ্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ বিতরণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা থেকে বাদ পড়েন চাপরাইল গ্রামের ৪৮ জন কৃষক। তারা আন্দোলনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হলে পরের দিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম রাজু‘র উপস্থিতিতে উপ-সহাকারি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোহা.আব্দুল কুদ্দুস ও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম পূনরায় ৪৮ জনের তালিকা করেন।
বৃহস্পতিবার (১৭জুন) ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,তালিকায় তাদের নামভুক্ত করা হলেও ক্ষতিপূরণের টাকা এখানো তারা পাননি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শাহজাহান বেপারি, পান্নু মিয়া, আহাদনূর, মোবারক হোসেন ও আব্দুল মতিন অভিযোগ করে বলেন, প্রথম দফায় তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়। পরবর্তীতে তারা আন্দোলনের ডাক দিলে নতুন করে তালিকায় তাদের নাম দেয়া হয়। তালিকা অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে তালবাহানা করা হচ্ছে বলেও তারা জানান।
এ প্রসঙ্গে জামির্ত্তা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারি কর্মকর্তা মোহা. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে পরে আরো ৪৮ জন কৃষককের নাম তালিকা করে পাঠানো হয়েছে । তারা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে কিনা তা আমি জানি না।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ইটভাটার ধোঁয়ায় চাপরাইল গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে উপজেলা কৃষি অফিসারের কাছে জমা দিয়েছি । যতটুকু জানি তারা এখানো ক্ষতিপূরণ পায়নি।
জামির্ত্তা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম রাজু বলেন, আশা করি আগামী সোমবারের (২১জুন) মধ্যে বাদ পড়া কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ টিপু সুলতান সপন বলেন,যাদের তালিকা করা হয়েছে তারা না পেলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ক্ষতিপূরণ না পেয়ে থাকলে আমরা বসে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করব।